Categories
সারাদেশ

জেলা পরিষদ নির্বাচনে কাজী আলমগীরের মনোনয়ন দাখিল

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে জেলার ৬৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫৯টি ইউপিতে নৌকা প্রার্থীকে জয়ী করার পিছনে ৯৫ভাগ অবদান যার তার নাম কাজী আলমগীর। শুধু ইউপি চেয়ারম্যানই নয়। বড় বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে পৌরসভার মেয়র, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানও নির্বাচিত করেছেন তিনি। এরকম প্রায় আট শতাধিক ভোটারগণ অধির আগ্রহে আছেন তাদের সেই প্রতিদানের উপহার দেয়ার অপেক্ষায়। অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন ফরম আনুষ্ঠানিকভাবে জমা দিয়েছেন পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর হোসেন।

বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রিয় কার্যালয়ের নির্বাচন বোর্ডে কাজী আলমগীর দলীয় ফরম জমা দেন। জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পরপরই পটুয়াখালীতে বেশ জোরালো আলোচনায় উঠে আসে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির নাম। কিন্তু কেউ নিশ্চিত ছিলনা যে তিনি আদৌ মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করবেন কি করবেননা। কারণ আগামী এক বছর পরই জাতীয় সংসদ নির্বাচন। জেলা আওয়ামীলীগের অনেক সিনিয়র নেতৃবৃন্দরাই মনে করেছিলেন যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ থেকে বিরত থাকতে পারেন।

এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে গোটা জেলায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছিল। অবশেষে বুধবার সেই বিষয়টি সকলের কাছে পরিস্কার হলো। সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র এবং জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ জেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের একঝাক সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে উৎসব মূখর পরিবেশে মনোনয়ন ফরম জমা দেন কাজী আলমগীর। মূলত দুপুরের পর থেকেই গোটা জেলায় আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়েছে এ বিষয়টি। ধারনা করা হচ্ছে মোটামোটি নিশ্চিত হয়েই সাংগঠনিকভাবে সিদ্বান্ত নিয়েই কাজী আলমগীর দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন-এমন মন্তব্যও করেছেন অনেকে।

গলাচিপা উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহিন শাহ জানান, আমার দৃষ্টিতে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসাবে কাজী আলমগীর সফল। কারণ জেলা শহর থেকে একদম তৃনমূল অর্থাৎ রুট লেবেল পর্যন্ত তার পদচারনা রয়েছে। বিগত ইউপি নির্বাচনে সে যে পরিমান পরিশ্রম করে নৌকার প্রার্থীদেরকে জয়ী করেছেন আমার মনে হয় পটুয়াখালীতে গত ত্রিশ চল্লিশ বছরেও কোন সভাপতি এরকম কষ্ট করেনি। তাই আমরা সবাই মিলে কাজী চাচাকে নিয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছি। আমি আশা করি, নির্বাচন বোর্ড এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের বিমুগ করবেনা। জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ গাজী হাফিজুর রহমান সবির জানান, বিগত কয়েকটি ধাপে জেলার ৬৮ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ৫৯টি ইউপিতে নৌকা মার্কার প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছে।

এই জয়ের পিছনে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির অবদান তুলনাবিহীন। আমার দৃঢ় বিশ^াস এই ৫৯জন ইউপি চেয়ারম্যান এবং আমাদের দলীয় জয়ী মেম্বারগনসহ পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলরগনরা সঠিক মূল্যয়ন করে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতিকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবে। কুয়াকাটা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল বারেক মোল্লা জানান, আজ আমরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতিকে নিয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছি। আশা করি দল তাকে মূল্যয়ন করবে। কারণ কলাপাড়া উপজেলার প্রতিটি নৌকার প্রার্থীসহ বিজয়ী ইউপি সদস্যগনরা তাকে ভোট দিয়ে জয়ী করার জন্য অধির আগ্রহে বসে আছে।

মনোনয়ন ফরম জমা দেয়ার সময় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির সাথে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা, জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আব্দুল মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট উজ্জ্বল বসু, কোষাধ্যক্ষ গাজী হাফিজুর রহমান সবির, গলাচিপা উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহিন শাহ, দশমিনা সদর চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান লিটন, কুয়াকাটা পৌরসভা মেয়র মোঃ আনোয়ার হোসেন, পটুয়াখালী চেম্বারের সভাপতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

এছাড়াও জেলা আওয়ামীলীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল ইসলাম খায়ের, ক্রীড়া সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কচি, উপ-প্রচার সম্পাদক জিএম জাফর কিরণ, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, সদস্য এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ওবায়দুল, সদস্য মিজানুর রহমান মনির খান, সদস্য মোঃ জুবাইদুল হক রাসেল, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ শাহজালাল, পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জামাল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, জেলা শ্রমিক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি খলিলুর রহমান, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম এবং কুয়াকাটা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল বারেক মোল্লা।

Categories
সারাদেশ

কুয়াকাটা ক্লাবের বিরুদ্ধে জমি দখল করে স্থাপণা নির্মাণের অভিযোগ

গোফরান পলাশ, কলাপাড়া:
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আদেশ অমান্য করে ভূমি দস্যুতায় লিপ্ত হয়েছে কুয়াকাটা ক্লাব। অন্যের জমি দখল করে পাকা স্থাপণা নির্মাণ করা হচ্ছে। কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করা হয়।

লিখিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কুয়াকাটা ক্লাব কর্তৃপক্ষ কাগজপত্র পর্যালোচনা ছাড়াই ৪ একর ১৭ শতক জমি বারবার মামলায় হেরে যাওয়া একটি পক্ষের নিকট থেকে বায়না চুক্তি করে পাকা স্থাপণা নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। কুয়াকাটায় জমি ক্রয়-বিক্রয়ে অনুমোদন নেয়ার নিয়ম থাকায় মামলার তথ্য গোপন করে জেলা প্রশাসন ও বিভাগীয় কমিশনারের অনুমোদনও পেয়েছেন তারা। এখন যেকোন মুহূর্তে দলিল রেজিস্ট্রি করে নিবেন, এমন শঙ্কার কথাও উল্লেখ করেছেন জমির মালিকানা দাবিদারদের একজন গাজী আব্বাস উদ্দিন আহম্মেদ (বাচ্চু)।
তিনি সংবাদ সম্মেলনের লিখিত অভিযোগে বলেন, কুয়াকাটা ক্লাব’র মত একটি সামাজিক সংগঠন এমন অস্বচ্ছতার আশ্রয় নিয়ে দখল নৈরাজ্য করলে তা আইনগতভাবে মোকাবেলা করা হবে।

কুয়াকাটা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদুজ্জামান সোহেল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যথাযথভাবে পর্যালোচনা করেই প্রকৃত জমির মালিকদের নিকট থেকে রেজিস্ট্রি বায়না চুক্তি সম্পাদন করে আমরা ভোগদখলে রয়েছি।

অন্যদিকে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়েছে, পর্যটন নগরী কুয়াকাটা পৌর সভার ৮ নং ওয়ার্ডে এস এ ২০৮ নং খতিয়ানের মালিক রাখাইন সম্প্রদায় ইয়োছেনা মগনী ও লাথয়ে মগ হইতে ১৩ একর ৫৪ শতক জমির পত্তন মুলে মালিক ছিলেন মরহুম আঃ করিম হাওলাদার। তার মালিকানা স্বত্ব বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক দেওয়ানী ১২৩/৭৫ নং মোকাদ্দমায় রায় ডিগ্রি বলে স্বীকৃত। উক্ত জমি বে-আইনীভাবে পেশী শক্তির জোরে স্থানীয় মোঃ আইউব আলী সিকদার এবং আঃ মন্নান হাওলাদার গংরা জমির প্রকৃত মালিক আঃ করিম হাওলাদারের মুত্যুতে ডিক্রি বাতিলের অপচেস্টায় দেওয়ানী ৮৬/১৯৭৬ এবং ২৯৮/১৯৭৮ নং মোকাদ্দমা করে ব্যর্থ হন।

পরবর্তীতে দেওয়ানী ১১/২০০৩ মোকাদ্দমা করে মোঃ আইউব আলী সিকদার আপিল করেন। যা দ্বিপাক্ষিকভাবে আঃ করিম হাওলাদারের অনুকূলে মোঃ আইউব আলী সিকদার গংদের আপিল খারিজ হয়। উক্ত জমি আঃ করিম হাওলাদারের ওয়ারিশগনের নামে নামজারী ও খাজনা দাখিলা সম্পন্ন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে গাজী আব্বাস উদ্দিন দাবী করেন, নগদ টাকার প্রয়োজনে মরহুম করিম হাওলাদারের ওয়ারিশগন কলাপাড়া এস আর অফিসের ২৬/০৫/২০১১ তারিখের রেজিস্টিকৃত ৪৩৫২ ও ৪৩৫৩ এবং ৭/৬/২০১১ তারিখে রেজিস্টিকৃত ৪৫৫৩/১১ নং বায়না দলিল মুলে ৮ একর ৬৪ শতক জমি বায়নাসহ আমাদের কতিপয় ব্যক্তির নামে হস্তান্তর করেন। এবং ২৬/৫/১১ ইং তারিখে কলাপাড়া এসআর অফিসে রেজিস্টিকৃত ১৩৪৮ ও ১৩৫০ নং আমমোক্তারনামা দলিলমূলে তফসিলভূক্ত সম্পত্তি রক্ষনা বেক্ষণ, মামলা পরিচানা এবং ক্রয় বিক্রয়ের জন্য মোঃ আবুল কালাম ও আমি গাজী মোঃ আব্বাস উদ্দিনকে ওয়ারিশগন কর্তৃক আমমোক্তার নিযুক্ত করেন।

তিনি লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, আইউব আলী সিকদার ও আঃ মান্নান হাওলাদার গংরা নিন্ম আদালত ও উচ্চ আদালতে মালিকানা দাবী স্বত্ব না করতে পেরে কুয়াকাটা ক্লাবের কাছে বিক্রি করে। এবং কলেজ নির্মাণের জন্য জমি মৌখিকভাবে দান করে। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সেখানে গোপনে জমির আকার আকৃতি পরিবর্তন করেছে। যা সম্পুর্ন বে-আইনী। তিনি আরও দাবী করেন জরিপকারী কর্মকর্তাগন কাগজপত্র পর্যালোচনা না করে বিশেষ সুবিধা গ্রহনের মাধ্যমে আইউব আলী গংদের নামে বিএস জরিপ করে দেয়।

মালিকানা স্বত্ব না থাকলেও শুধুমাত্র ভূলবশত বিএস জরিপের বলে বিরোধীয় জমি তরিঘড়ি করে বিক্রি এবং দানপত্র দলিল করে দিয়ে নিজের দাতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। উচ্চ আদালতের রায় ডিগ্রি বলে বর্তমানে বিএস জরিপ সংশোধনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেন, আইউব আলী সিকদার ও আঃ মান্নান গংরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় পেশি শক্তির বলে জোরপুর্বক দখল করে ভোগদখল করছে। এসব ভূমি দস্যুদের কাছ থেকে দখলমুক্ত করে প্রকৃত মালিকদের মালিকানা স্বত্বে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

Categories
সারাদেশ

পটুয়াখালীতে মামলা করে বিপদে গৃহবধু

পটুয়াখালী প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীতে স্বামী-সন্তানের উপর হামলার ঘটনায় আদালতে মামলা করে বিপাকে পরেছে এক গৃহবধু। মামলার জেরে অভিযুক্তরা নানাভাবে বাদিকে অশ্লীল ভাষায় হুমকী-ধামকী দিয়ে নিজ বসত ভিটা ছারতে প্রভাবিত করছেন বলে অভিযোগ ওই গৃহবধুর। মঙ্গলবার পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করে ভুক্তভোগী মোসাঃ রুনু আক্তার।

এঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে অসহযোগীতার অভিযোগ উঠেছে। তবে এসকল অভিযোগ অস্বীকার করে সদর থানার এসআই রতন কুমার হাওলাদার বলেন-মেডিকেল রিপোর্ট পেলে প্রতিবেদন দেব। হতাশ হওয়ার কিছু নেই।

সংবাদ সম্মেলনে গৃহবধু রুনু আক্তারে ছেলে ফেরদৌস লিখিত বক্তব্যে বলেন-গত ৩১ আগষ্ট পৈত্রিক সম্পত্তি বন্টনের কথা বলে তার বাবা মো. ফোরকান হাওলাদারেক ঘরে ডেকে নিয়ে যায় চাচা রফিক হাওলাদার। সেখানে বাকবিতন্ডা হলে হারুন হাওলাদার ও তার স্ত্রী শাহনাজ ও রফিক হাওলাদার ও তার স্ত্রী তামান্না তার বাবাকে মারধোর করে মারাত্মাক জখম করে।

হামলার ঘটনায় তার বাবা ফোরকান পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পরে মা রুনু আক্তার বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন। মামলার পর থেকে অভিযুক্তরা বাদী ও স্বাক্ষীকে নানা ভাবে হয়ারনী হেনস্তা করছে বলে অভিযোগ করেন তারা। এর পূর্বে তার মা ও ফেরদৌসকে মারধোরের শিকার হয়েছে। অভিযুক্তরা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তিকে থেকে বঞ্চিত করতে র্দীঘদিন থেকে নানা ভাবে হয়রানী করে আসছে।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে রফিক হাওলাদার বলেন ফোরকান আমাকে মারতে এসে নিজেই আহত হয়েছে। আমরা তাকে কিছু বলিনি।

Categories
সারাদেশ

পটুয়াখালীতে চাকুরিচ্যুত নাজিরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি॥
কোষাগারে জমার নামে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অব্যাহতি পাওয়া রাঙ্গাবালী ভূমি অফিসের নাজিরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার দুদকের সমন্বিত পটুয়াখালী জেলা কার্যালয়ের সাবেক সহকারী পরিচালক মো. আরিফ হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। অভিযুক্ত মো. রফিকুল ইসলাম পটুয়াখালী সদর উপজেলার ডিবুয়াপুরের মৃত তোজাম্বর আলী হাওলাদারের ছেলে। একই ঘটনায় গত ২৯ জুন মো. রফিকুল ইসলামকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় জেলা প্রশাসন।

দুদক মামলায় বলেন-কলাপাড়ায় চাকরিরত অবস্থায় আদালতের একটি মামলায় বরখাস্ত হয় মো. রফিকুল ইসলাম। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ৪ এপ্রিল বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বদলি করে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন। তবে কি কারণে রফিকুল ইসলাম‘র বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছিল সে তথ্যও পাওয়া যায়নি। বরখাস্ত থাকাকালীন বাউফল উপজেলা ভূমি অফিসে জনবল সংকট থাকায় সংশ্লিষ্টরা রফিকুল ইসলামকে মৌখিকভাবে নাজিরের দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন।

মৌখিক নির্দেশে নাজিরের দায়িত্ব পালন কালে ৫০টি ডি.সি.আর এর অনুকুলে আদায়কৃত অর্থ চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে ভুয়া চালান দেখিয়ে ৪০ লাখ ৯২ হাজার ১০৬ টাকা আত্মসাৎ করেন রফিকুল ইসলাম। তবে জেলা প্রশাসনের তদন্ত ও দুদকের মালায় আত্মসাৎকৃত অর্থের গড়মিল রয়েছে। এঘটনায় জেলা প্রশাসনের কয়েকদফা তদন্তে অভিযোগ প্রমানিত হলে গত ২৯ জুন রফিকুল ইসলামকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন।

Categories
সারাদেশ

কলাপাড়া প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার মোঃ তৌহিদুর রহমান সিআইপি মিলনায়তন উদ্বোধন

গোফরান পলাশ(কলাপাড়া)
পটুয়াখালীর কলাপাড়া প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার মো: তৌহিদুর রহমান (সিআইপি) মিলনায়তনের উদ্বোধন করা হয়েছে। দেশ বরেণ্য শিল্পপতি, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, দানবীর ইঞ্জিনিয়ার মোঃ তৌহিদুর রহমান (সিআইপি) আজ বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) অপরাহ্নে প্রধান অতিথি হিসেবে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ফিতা কেটে আধুনিক ডিজিটাল সুবিধা সম্পন্ন নান্দনিক এ হলরুমের শুভ উদ্বোধন করেন।

কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ও পটুয়াখালী ৪ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মোঃ মহিবুর রহমান।

অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ফ্রেশ গ্রুপ অফ কোম্পানিজ’র পরিচালক মোঃ মশিউর রহমান চমক (সিআইপি), ইকোনোমিক্স রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি সুলতান মাহমুদ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম রাকিবুল আহসান, কলাপাড়া পৌরসভার মেয়র বিপুলচন্দ্র হাওলাদার, কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র মোঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আবুল কালাম আজাদ প্রমূখ।

প্রেসক্লাবের সম্পাদক এস এম মোশারফ হোসেন মিন্টুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসক ডা. চিন্ময় হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব তালুকদার, কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী হুমায়ূন শিকদার, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি অধ্যক্ষ সৈয়দ নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি কলাপাড়া শাখার সম্পাদক কমরেড নাসির তালুকদার, কলাপাড়া চৌকি আদালত আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট শামীম আল সাইফুল সোহাগ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মো. সাইদুর রহমান, কলাপাড়া বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মো. ফিরোজ শিকদার প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে উত্তরীয় ও বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এবং ক্লাবের সদস্যদের সাথে নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন অতিথিবৃন্দ। এরপর কেক কেটে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করা হয়।

Categories
সারাদেশ

বঙ্গোপসাগরে ১৪ জেলে সহ দুটি মাছধরা ট্রলার ডুবি

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পরে ১৪ জন জেলেসহ এফবি সোহেল ও এফবি সুজন নামের দুটি মাছধরা ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা।

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে বঙ্গোপসাগরের মৌডুবির বয়া সংলগ্ন এলাকার সাগরে দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় পাশ্ববর্তী অন্য একটি ট্রলার সকল জেলেদের জীবিত উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত জেলে, ট্রলার মালিক মোঃ সোহল ও মোঃ সুজনের বাড়ি জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নের নীচকাটা গ্রামে। জেলেরা বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে রয়েছেন এতে তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, হঠাৎ ঝড়ের কবলে পরে ট্রলার দুটি ডুবে যায়। ওই ট্রলার দুটিতে ১৪ জন জেলে ছিলো। তাদেরকে অন্য জেলেরা উদ্ধার করেছেন তারা সুস্থ আছেন। ডুবে যাওয়া ওই ট্রলার মালিকদের প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যে অন্য জেলেরা ট্রলার দুটি উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।
#

Categories
রাজনীতি সারাদেশ

সিরিজ বোমা হামলায় জড়িতদের বিচারের দাবীতে পটুয়াখালীতে বিক্ষোভ সমাবেশ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে পটুয়াখালীতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচীতে যুবলীগ.ছাত্রলীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগ,শ্রমিকলীগসহ আওয়ামীর সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। বুধবার বেলা ১১টায় জেলা শহরের পৌর নিউ মার্কেট চত্বর থেকে বিশাল আকারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে লঞ্চঘাট চত্বরে সমাবেশ মিলিত হয়।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর ও সাধারন সম্পাদক ভিপি আবদুল মান্নান বলেন-২০০৫ সালের ১৭ আগষ্ট দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা চালায় নিষিদ্ধ জঙ্গি ও জেএমবি সংগঠন। এঘটনায় দুই জন নিহত ও ১০৪ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এঘটনায় দায়েরকৃত ১৫৯টি মামলার প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে তদন্তকর্মকর্তা। কিন্তু ঘটনার ১৭ বছর পূর্ণ হলেও অপরাধীদের বিচার নিশ্চিৎ করতে পারেনি সরকার।

কর্মসূচীতে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচারের দাবি জানানো হয়। এতে প্রশাসন ব্যর্থ হলে আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে লাগামহীন কঠোর কর্মসূচির ঘোষনা দেয় তারা। অনান্যদের মধ্য বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অ্যাড.সুলতান আহম্মেদ মৃধা, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট উজ্জ্বল বোস, কোষাধ্যক্ষ গাজী হাফিজুর রহমান সবির, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল ইসলাম খায়ের প্রমূখ।

Categories
জাতীয় সারাদেশ

ভূমি ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে:ভুমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন-প্রচলিত ভূমি জরিপে এক থেকে দেড় যুগ সময় লাগে সেখানে সল্প সময়ে বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপ সম্ভব হবে। এই জরিপ শুরুর সাথে সাথে খসড়া ম্যাপ তৈরি করে ওয়েবসাইটে দেয়া হবে,যাতে জমির মালিক পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে তার জমির ম্যাপ দেখে জমির পরিমানে অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হলে তাৎক্ষনিক আপত্তি দাখিল করতে পারেন। ডিজিটাল জরিপে যাবতীয় তথ্য ডিজিটাল ও নির্ভুল হওয়ায়,জরিপে স্বচ্ছতা আসবে, মামলা মোকদ্দমা কমে আসবে, সাথে জনগণের ভোগান্তিও কমে আসবে। বক্তব্য প্রদানের পূর্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবার এবং ১৫ আগষ্টে সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রী।

বুধবার(০৩ আগষ্ট)পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন মাঠে বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপ (বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে-বিডিএস)-এর পাইলটিং-এর উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ভূমিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সর্বাধুনিক ফোর্থ জেনারেশন সার্ভে ড্রোনের মাধ্যমে ডিজিটাল জরিপের পাইলটিং পটুয়াখালী শুরু করা হয়েছে। পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলায় এসএ জরিপের পর আরএস জরিপ সম্পন্ন না হওয়ায় উক্ত দুটি জেলার ১৪ টি উপজেলা বিডিএস এর জন্য বাছাই করা হয়েছে। পটুয়াখালীর সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়ন থেকে শুরু হবে এই জরিপ।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারী সাংসদ কাজী কানিজ সুলতানা হেলেন, বরিশাল বিভাগীয় সহকারী কমিশনার মোঃ ওয়াহেদুর রহমান, বিডিএস কার্যক্রমের প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল মান্নান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন এবং পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ্, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর ও সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আবদুল মান্না, প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী সামসুর রহমান ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ প্রিন্স। এছাড়াও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো মোস্তাফিজুর রহমান।

মন্ত্রী আরও বলেন-আমাদের অন্য একটি প্রকল্পের মাধ্যমে স্যাটেলাইট ইমেজ কিনে সেটা মৌজা ম্যাপের সাথে সমন্বয় করে ডিজিটাল ল্যান্ড জোনিং ম্যাপ তৈরি করা হচ্ছে। এর ফলে কৃষিজমি, জলাভূমি, পাহাড় ও বনভূমি রক্ষাসহ জমির পরিকল্পিত ব্যবহার করাও সম্ভব হবে। এনআইডি ইন্টিগ্রেশন থাকায় এখানে জমির মালিকানা,শ্রেণী ও ধরন ইত্যাদি বিষয়ে ডিজিটাল তথ্যভাণ্ডার গড়ে উঠবে। যা দিয়ে জেলা-উপজেলা, বিভাগ ও জাতীয় তথ্যভাণ্ডার গড়ে উঠবে। ফলে ভূমি ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে। বিডিএস একবার ঠিকভাবে করা সম্ভব হলে পুনরায় মাঠ জরিপ করার প্রয়োজন হবে না কারণ জমি হস্তান্তর হলে এসিল্যান্ড প্রয়োজনীয় ডাটা ইনপুট দিয়ে নিজেই ম্যাপ পার্টিশন করে নিতে পারবেন। ম্যাপে সুনির্দিষ্ট দাগে ক্লিক করে ঐ দাগের জমির মালিকানা, জমির পরিমাণ, চৌহদ্দি ও শ্রেণীসহ অন্যান্য তথ্য পাওয়া যাবে।
মন্ত্রী আরও বলেন-বিডিএস পাইলটিং-এর ম্যাপ তৈরি করার জন্য এবার পরীক্ষা মূলক ভাবে এবার প্রথমবারের মত ডিজিটাল ভূমি জরিপ কাজে সক্ষম বেসরকারি প্রতিষ্ঠাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন-তবে জরিপের খতিয়ান প্রস্তুত এবং মালিকানা নির্ণয়ের কাজ সরকারি ভাবেই করা হবে। এই পাইলটিং এর অভিজ্ঞতা নিয়ে পরবর্তীতে দেশের বাকী জেলায় একযোগে শুরু করার পরিকল্পনা করা বিডিএস-এর শুভ উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন ভূমিমন্ত্রী।

অপরদিকে অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে ডিসি দরবার হলে ভূমি সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ বলেন-বিডিএস ম্যাপে জমির পরিমাণ,জমির আইলের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, আকার ইত্যাদি সম্পর্কে জানা যাবে। এই জরিপে তৈরি ম্যাপটিতে সেন্টিমিটার পর্যায় পর্যন্ত এই ভূমি পরিমাপের নির্ভুলতা থাকবে। ডিজিটাল জরিপ বিষয়ে ১৯৫৫ সনের প্রজাস্বত্ব বিধিমালা ৩০ বিধিতে আপত্তি ও ৩১ বিধিতে অনলাইনে আপীল আবেদন ও শুনানি নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও সরকারি বিভিন্ন সংস্থার জমি, খাস জমি, রাস্তাঘাট, জলাধার, নদী খাল ইত্যাদি চিহ্নিত করা হবে, ফলে জমি দলিল ও নামজারি করার সময় জালিয়াতি করে সরকারি জমি আত্মসাৎ বন্ধ করা সম্ভব হবে। এছাড়া অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে দাগভিত্তিক প্রয়োজনীয় জমির পরিমাণ জেনে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ ও প্রদান ও জালিয়াতি প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে এই জরিপ শেষ হলে।

প্রসঙ্গত,সারাদেশে ডিজিটাল জরিপকরণের সক্ষমতা অর্জনের জন্য সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ভূমি মন্ত্রণালয় ১২১২.৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ করার জন্য ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের ডিজিটাল জরিপ পরিচালনার সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প’ নামে ৫ বছর মেয়াদি প্রকল্পের মাধ্যমে এই জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। অপেক্ষাকৃত স্বল্প সময়ে, নির্ভুলভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ করার জন্য বাংলাদেশ ভূমি জরিপ তথা বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভেতে স্যাটেলাইট, ড্রোন তথা ইউএভি এবং গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশনের সমন্বয়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।

Categories
সারাদেশ

স্বামীর অনুপস্থিতিতে দেখা করতে গিয়ে ‘বিশেষ অঙ্গ’ হারালেন যুবক

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় এক গৃহবধূর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে লাভলু (৪৮) নামে এক যুবকের পরকীয়ার অভিযোগ ছিল। তবে বেশ কিছুদিন ধরে তাদের সম্পর্কে টানাপোড়ন চলছিল। এ নিয়ে স্বামীর অনুপস্থিতিতে লাভলু ওই গৃহবধূর ঘরে দেখা করতে গেলে ওই গৃহবধূ কৌশলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ‘বিশেষ অঙ্গের’ আংশিক কেটে ফেলেন।

শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাতে উপজেলার পশ্চিম পশারীবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। লাভলু উপজেলার পশ্চিম পশারীবুনিয়া গ্রামের কাঞ্চন আলী হাওলাদারের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূর সঙ্গে মুদি দোকানি লাভলু হাওলাদারের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর সূত্র ধরে স্বামীর অনুপস্থিতিতে রাতের আঁধারে প্রায়শই ওই গৃহবধূর সঙ্গে তিনি দেখা করতেন। সম্প্রতি তাদের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল।

শুক্রবার (২৯ জুলাই) গভীর রাতে স্বামীর অনুপস্থিতিতে লাভলু ওই গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করলে গৃহবধূ কৌশলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ‘বিশেষ অঙ্গ’ পোচ দিয়ে কেটে ফেলার চেষ্টা করেন। এতে তার ‘বিশেষ অঙ্গের’ আংশিক কেটে যায়। এ সময় লাভলুকে কুপিয়ে আহত করেন ওই নারী।